অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই কি অন্যায়?

Spread the love

শরিফুল হাসান

এই শিরোনামে বছরখানেক আগে একটা কলাম লিখেছিলাম। তাতে বলেছিলাম, এই দেশে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি-অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবনে পদে পদে নিগৃহীত হয়েছেন। এসব দেখে মনে হয়, দুর্নীতি করলে সমস্যা কিন্তু এই দুর্নীতি-অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা অন্যায়! দুদকের সদ্য চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন সেই তালিকায় সম্ভবত সর্বশেষ নাম।

শরীফ উদ্দিনকে আমি চিনি না। কয়েকটা খবর পড়ে বুঝলাম, সমস্যাটা সেই একই জায়গায়! স্রোতের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েছিল শরীফ। চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় দক্ষতা ও সাহসের সঙ্গে একের পর এক অসাধারণ কাজ করেছেন। কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণে বিশাল অঙ্কের দুর্নীতি, রোহিঙ্গা নাগরিকদের এনআইডি ও পাসপোর্ট জালিয়াতি, কর্ণফুলী গ্যাসে অনিয়মসহ নানা ঘটনায় তিনি যে ভূমিকা পালন করেছেন তাতে তাকে পুরুষ্কৃত করার কথা। কিন্তু হয়েছে উল্টো। এই রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রের প্রভাবশালীদের তিনি রুষ্ট করেছেন। ফলাফল প্রথমে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা। এরপর চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালী বদলি। এরপর ভীষণ নোংরাভাবে চাকরিচ্যুতি। এই তো আজকের বাংলাদেশ!

আপনারা নিশ্চয়ই খবরগুলো পড়েছেন, চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের সময় শরীফ উদ্দিন ২০২১ সালের ১৬ জুন হালনাগাদ ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে অর্ন্তভুক্ত করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালকসহ ইসির চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

গণমাধ্যমের খবর বলছে, গত বছরের ১০ জুন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ প্রদান করায় সাবেক প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলামের (বিএসসি) বড় ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মো. মুজিবুর রহমান, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. সারওয়ার হোসেন, সাবেক ব্যবস্থাপক মো. মজিবুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সার্ভেয়ার মো. দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেন শরীফ উদ্দিন।

২০২১ সালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে সংলগ্ন কলাতলী বাইপাস রোড এলাকায় পিবিআই অফিস তৈরির জন্য এক একর জমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির ঘটনা উঠে আসে শরীফ উদ্দিনের তদন্তে। এ ঘটনাসহ কক্সবাজারের মেগা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর জমি অধিগ্রহণের দুর্নীতিতে জড়িত বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি ও রাজনীতিকের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার করা হয়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে খালাসি পদে ১৯ জনকে নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এক কোটি ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে পূর্বাঞ্চলের সাবেক মহাব্যবস্থাপকসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন শরীফ। একই মামলায় দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত খালাসি, ঠিকাদার, স্কুল শিক্ষক, পিয়ন, রেলের ড্রাইভারসহ আরও ৮ জনকে আসামি করা হয়।

গত বছরের জানুয়ারিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় দুর্নীতি ও নানা অনিয়মে জড়িত থাকা একজন শীর্ষ দালাল ও সাবেক একজন সার্ভেয়ারকে আটক করেছিলেন তিনি।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তে চট্টগ্রামে নামে দুদক। পরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার ও বেশ কয়েকটি মামলাও করেছিলেন শরীফ উদ্দিন। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৫২টি মামলা করেছিল শরীফ।

বিনিময়ে কী জুটেছে শুনবেন? শরীফ পদোন্নতি পাননি। এরপর রহস্যময়ভাবে তাকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হলো। এরপর দেওয়া হয় হুমকি। ১৬ দিন আগে তিনি থানায় জিডি করেছিলেন। পুলিশ বলছে, দুদক কর্মকর্তা শরীফের বাসায় গিয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) আইয়ুব খান চৌধুরী গিয়েছিলেন। এই আইয়ুব খান চৌধুরী কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এই হুমকির মধ্যেই গতকাল তাঁকে চাকরিচ্যুতির আদেশ দেয় দুদক।আদেশের দিন থেকেই শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুতি কার্যকর হবে বলে দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত আদেশে উল্লেখ করা হয়।

শুনলাম দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেছেন, উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দীনের বিরুদ্ধে তিনটি বিভাগীয় মামলা চলমান। আরও কয়েকটি বিভাগীয় মামলা দায়ের হওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তার কারণে দুদকের সম্মানহানি হচ্ছিল।

আমার ভীষণ হাসি পায় এগুলো শুনলে। দুদক যদি আসলেই মনে করে, শরীফ উদ্দীন কোন অপরাধ করেছে তাহলে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতো। সেগুলো না করে কেন এভাবে চাকুরিচ্যুতি? এর মানে কী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ লড়াই করলে দুদকের সম্মানহানি হয়?

এখানে মুনীর চৌধুরীর কথা না বললেই নয়। এই দেশের প্রশাসনের অসাধারণ কিছু সৎ কর্মকর্তার নাম জানতে চাইলে বলতে হবে মুনীর চৌধুরীর নাম। যখন যেখানে গিয়েছেন, দারুণ সাহসের সঙ্গে দেশসেবা করেছেন।

চট্টগ্রাম বন্দর, পরিবেশ অধিদপ্তর, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর, মিল্ক ভিটা ও ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষে দায়িত্ব পালনের সময় তার দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে প্রায় চার হাজার কোটি টাকার ভূমি সম্পদ উদ্ধার ও রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়। ডিপিডিসির স্পেশাল টাস্কফোর্স প্রধান হিসেবে রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জে দুই কোটি ইউনিট বিদ্যুৎ চুরি ধরেন তিনি। আদায় করেন প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে কোকোর মালিকানাধীন লঞ্চকে তিনি বিএনপি আমলেই জরিমানা করেন। বাদ পড়েনি যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর জাহাজও। বর্তমান সরকারের অনেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকেও তিনি জরিমানা করেছেন। তার একক ভূমিকায় চট্টগ্রাম বন্দরে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও জাহাজ চলাচলে বেপরোয়া দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা কমে আসে। তার নেতৃত্বে পরিবেশ দূষণ-বিরোধী অভিযানে ৭০ শতাংশ দূষণকারী শিল্প-কারখানায় ইটিপি স্থাপিত হয়, উদ্ধার হয় ৭০০ একর কৃষিজমি ও উপকূলীয় বনভূমি। পরিবেশ অপরাধীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ১২৩ কোটি টাকা জরিমানা।

২০১৬ সালে তাকে যখন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক ও সংস্থাটির এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান করা হয়, আমরা দারুণ আশাবাদী হয়েছিলাম। কিন্তু সেখান থেকে পরে তাকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

মুনীর চৌধুরীর আরেক ব্যাচমেট মাহবুব কবির মিলনের অবস্থাটা দেখুন? কর্মজীবনে অত্যন্ত সৎ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত মিলন। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ভেজাল ও নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়ে দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। রেলওয়েতে যোগ দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ এবং ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি ঠেকাতে বেশকিছু উদ্যোগ ও পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেন মাহবুব কবির। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থাকাকালে একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথায় কথায় বলেছিলেন, ‘আমি যদি প্রধানমন্ত্রীকে পেতাম তবে বলতাম, স্যার আমাকে ১০ জন অফিসার দিন। মানুষের চোখের পানি দূর করার জন্য সব মন্ত্রণালয়, সব দপ্তর, সব অধিদপ্তরের বিষয়গুলো অ্যাড্রেস করব আমরা এই ১০ জন। কেউ যদি বলে আমরা দুর্নীতি দূর করতে পারব না, কেউ যদি বলে সিন্ডিকেট ভাঙা যায় না, আমি ওটারই চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি- আমার তিন মাস সময়ই যথেষ্ট, যেকোনো ডিপার্টমেন্টের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য।’

রাষ্ট্রের উচিত ছিল তাকে এই চ্যালেঞ্জ নিতে সহায়তা করা। ব্যর্থ হলে হয়তো ব্যবস্থা নেওয়া যেত! কিন্তু তার ইচ্ছা পূরণ তো দূরের কথা এই কথা বলার পর এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। সেই মামলায় দণ্ড হিসাবে তাকে ‘তিরস্কার’ করে ১ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই অবস্থায় তিনি চাকুরি থেকে বিদায় নেন।

সারোয়ার আলমের কথা মনে আছে? ২৭তম ব্যাচের প্রশাসনের যে কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের সততা ও কাজ দিয়ে দেশবাসীর ভালোবাসা পেয়েছিলেন, সারোয়ার আলম ছিলেন তাদের শীর্ষে। র‌্যাবের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রায় তিনশ অভিযানে ছিলেন তিনি। সবসময় মানুষের জন্য কথা বলেছেন। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেছেন এমন কোনো অভিযোগ কখনো ওঠেনি। অথচ ব্যাচের ২৪০ জন পদোন্নতি পেলেও দেশবাসীর কাছে দারুণ সৎ বলে পরিচিত সারোয়ার আলমের পদোন্নতি হয়নি।

প্রচণ্ড মন খারাপ করে ফেসবুকে লিখেছিলেন, চাকরিজীবনে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়েছেন, তাদের বেশিরভাগই চাকরিজীবনে পদে পদে বঞ্চিত ও নিগৃহীত হয়েছেন। এ দেশে অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটাই অন্যায়!

আফসোস পরে এই স্ট্যাটাসও তাকে ডিলিট করে দিতে হয। এয়ারপোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইউসুফের কথা মনে আছে? একা একটা মানুষ বিমানবন্দরের সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। বিমানবন্দরের সব অসৎ লোকজনকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন। প্রবাসীদের নানা সংকটের সমাধান করেছেন। মানুষের হয়রানি ও দুর্ভোগ দূর করতে নিরন্তর কাজ করেছিলেন। পরিণতি? তাকে বদলি করতে নানা তদবির হয় এবং একসময় সত্যি সত্যি বদলি করা হয়। শরীফ, সারোয়ার আলম, মুনীর চৌধুরী, মাহবুব কবির মিলেনের মতো অনেক অনেক উদাহরণ আছে।

এবার ভিন্ন একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। পাঁচ-ছয় বছর আগে একটি মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিষ্ঠানে প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ এক দায়িত্বে ছিলেন। সেসময়ের ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর ছত্রছায়ায় একটি চক্র দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করেছিল। যে সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির নেতৃত্ব দানের অভিযোগ ছিল, পরে দেখি যথাসময়ে তিনি পদোন্নতি পান। অথচ যখন যেখানে তিনি কাজ করতে গিয়েছেন, সেখানেই বিতর্কিত ভূমিকার জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন। দুদকে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। অথচ তিনি বার বার পুরস্কার পেয়েছেন। আর আর ওই দুর্নীতি বন্ধের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার ছিলেন, তাদের কেউ এখন জাদুঘরে, আবার কারো কারো বিরুদ্ধে নানা ট্যাগ লেগেছে।

আজকে দুদকের শরীফ উদ্দিনের ঘটনায় সেই পুরোনো একটি চক্রকেও দেখতে পাচ্ছি। মাঝে মধ্যে আসলেই মন ভেঙে যায়। এসব ঘটনা এই বার্তাই দেয়, সততার দাম নেই। অন্যদের মতো স্রোতে গা ভাসিয়ে দাও। আপনি ঘুষ খান-দুর্নীতি করেন, তাতে পার পেয়ে যেতে পারেন কিন্তু দুর্নীতির বিরুদ্ধে বললেই জুটবে তিরস্কার। সিন্ডিকেট ভাঙতে চান, পদে পদে বিপদে পড়বেন।

আচ্ছা এই যে কথায় কথায় ক্ষমতাসীনরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আসলে কী? আমি তো বলবো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মানে তার অপোসহীনতা, তার সততা। তাহলে সেগুলোর চর্চা কেন করতে দেওয়া হচ্ছে না? এই সরকার ও রাষ্ট্রকে বলবো, আপনাদের দোহাই লাগে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

আজকে কানাডা, দুবাই, মালয়েশিয়াসহ নানা দেশে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। একদল লোক দেশটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। যারা এইসব দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাদের কিছু হচ্ছে না আর যারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।

শরীফকে চাকুরিচুত্যুরি ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। তাকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে ঢাকায় ও পটুয়াখালীতে তাঁর সহকর্মীরা আজ সাহস করে মানববন্ধন করেছেন। তাদের ধন্যবাদ। আজকের মানববন্ধনে দুদক কর্মচারী আইন ৫৪(২) ধারাকে বিতর্কিত আইন দাবি করে, এটি বাতিলসহ শরীফ উদ্দিনকে চাকরিতে বহালের দাবি জানান।

এই রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। সেই সঙ্গে শরীফ তোমাকে স্যালুট। জানি না তুমি চাকুরি ফেরত পাবে কী না। তুমি যাদের যাদের বিরুদ্ধে লড়ছো তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমার আছে, কাজেই আমি জানি না তোমার ভবিষ্যত কী? কিন্তু তোমার জন্য একবুক ভালোবাসা। তোমাকে স্যালুট। চলুক এই লড়াই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.