14/8/20
জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর যেভাবে তারা কথা বলেছে তার অনেক কিছুই আমার ভালো লাগেনি। কিন্তু আমার-আপনার ভালো লাগেনি মানে এই নয় যে ওরা কোন অপরাধ করেছে। আমি বরং এদের মানসিক সুস্থতার জন্য আরও সময় দেয়ার পক্ষে। আর কেউ মাদকাসক্ত হলে তার চিকিৎসা জরুরি। আপনারা আইনের লোকজন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাও নেয়ার কথাও ভাবতে পারেন। কিন্তু মেয়ে বলেই তার চরিত্র হরণের চেষ্টা করবেন কেন?
বলতে বাধ্য হচ্ছি, যেভাবে মেয়েটার ছবি ছড়ানো হচ্ছে সেটা কিন্তু ডিজিটাল আইনে অপরাধ। হ্যাঁ মানছি, একটা মেয়ে সিগারেট খাচ্ছে, এই দৃশ্য দেখতে আমাদের চোখ অভ্যস্ত নয়। কিন্তু এটা কিন্তু কোনো ফৌজদারী অপরাধ নয়।
আপনারা যারা এই ছবিগুলোকে অশ্লীল বলছেন তাদের বলি, বিনা কারণে একজন মানুষকে গুলি করে হত্যা করা এর চেয়ে ভয়ঙ্কর অশ্লীল এবং ফৌজদারি অপরাধ। একজন সাবেক গুলিবিদ্ধ মেজর পানি পানি বলে চিৎকার করছে, আরেকজন পুলিশ সদস্য লাথি মেরে বলছে শালারপুত কিসের পানি, এর চেয়ে ভয়াবহ অশ্লীল দৃশ্য এবং অপরাধ আর কী হতে পারে? আমি তো বলবে এগুলো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
একজন মানুষকে হত্যা করে তার চরিত্র হননের চেষ্টা করা আরও অপরাধ। একের পর এক মিথ্যা বলা আরো অপরাধ। তার পরিবারকে জানাতে না দেওয়া অপরাধ। বাংলাদেশের সব আইনে বিচার বহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যা করা অপরাধ।
মনে রাখবেন, একজন মানুষ হত্যার বিচার চাওয়াটা কোনো অপরাধ নয়, কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষকে মুখোমুখি করার চেষ্টা করা বা উত্তেজনা ছড়ানোটা অপরাধ। আপনি কোন বাহিনীতে কাজ করেন বলে সেই বাহিনীর অপরাধ ঢাকতে অন্য কাউকে অপরাধী বানানোর চেষ্টা করাটা অপরাধ। সাংবাদিকতার নামে গল্প কাহিনী বানানো বা গুজব ছড়ানো অপরাধ।
এদেশের সাধারণ নাগরিক, নানান বাহিনীতে সাবেক বা বর্তমানে কর্মরত সব মানুষ, আমাদের নীতিনির্ধারকসহ প্রত্যেককে বলবো নিজের বোধ বুদ্ধি গুলোকে কাজে লাগান। একজন মানুষ হিসেবে বা মানবিকতার বোধ থেকে সব কিছু দেখার চেষ্টা করুন। দেখবেন অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে বিবেক বোধ জাগ্রত করুক।