ভুয়া চাহিদাপত্র তৈরি করে সৌদি আরবে লোক পাঠানো হচ্ছে

Spread the love

শরিফুল হাসান

ভুয়া চাহিদাপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে সৌদি আরবে লোক পাঠাচ্ছে বাংলাদেশের কয়েকটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গত কয়েক মাসে কয়েক হাজার লোক সৌদি আরবে গেলেও তাঁরা কাজ পাননি। এসব কর্মী সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে অভিযোগ জানান। এরপর দূতাবাস ঘটনার তদন্ত করে চাহিদাপত্র জালিয়াতির ঘটনা জানতে পারে।সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস এ ঘটনাকে শ্রমবাজারের জন্য ‘অশনিসংকেত’ উল্লেখ করে দ্রুত এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে শ্রম, কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অবৈধ এই তত্পরতার বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে সৌদি আরবের শ্রমবাজার চিরতরে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।গত জানুয়ারি থেকে সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ আছে। এর পরও এ বছর প্রায় ১২ হাজার লোক সেখানে গেছেন। দূতাবাসের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, তাঁদের বেশির ভাগই ভুয়া ভিসায় গেছেন। এর সঙ্গে একশ্রেণীর দালাল ও কিছু জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান জড়িত। বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, জনশক্তি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত সৌদি আরবের একজন বাঙালি চিকিত্সক এসব ঘটনার নেপথ্যে কাজ করছেন। তাঁর সঙ্গে দূতাবাসের কর্মকর্তাদেরও সুসম্পর্ক রয়েছে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে লোক পাঠানো যাচ্ছে না। শ্রমিকেরা ইকামা (কাজের অনুমতিপত্র) পাচ্ছেন না। এ সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সবাই আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এমন একটি সময়ে এ ধরনের অপতত্পরতা বাংলাদেশের শ্রমবাজারকে হুমকির মুখে ফেলবে। কাজেই যেকোনো মূল্যে এটি ঠেকাতে হবে। তিনি জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।যেভাবে জালিয়াতি ধরা পড়ে: ১২ আগস্ট শ্রম, কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো জরুরি ফ্যাক্সবার্তায় সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর (দ্বিতীয় সচিব) মিজানুর রহমান জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে আসা ২১ জন কর্মী দূতাবাসে একটি অভিযোগ দেন। এতে তাঁরা বলেন, জুলাই মাসে বাংলাদেশের মাহা ইন্টারন্যাশনাল (লাইসেন্স নম্বর ১০০৫) নামের একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই শ্রমিকেরা এখানে আসেন। এ জন্য তাঁরা প্রত্যেকে মাহা ইন্টারন্যাশনালকে চার লাখ টাকা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে তাঁদের জেদ্দার একটি কোম্পানিতে কাজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখানে এসে তাঁরা তাঁদের মূল নিয়োগকর্তা আল রিয়াদ মেইনটেনেন্স অ্যান্ড কন্ট্রাটিং এস্টাবলিশমেন্ট কোম্পানিতে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, ওই কোম্পানি বাংলাদেশে থেকে লোক নিয়োগের জন্য কোনো চাহিদাপত্র পাঠায়নি। ফলে কোম্পানি কোনো কাজ বা ইকামা দিতে রাজি হয়নি। শ্রম কাউন্সেলর মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনার পর তাঁরা দূতাবাসের পক্ষ থেকে ওই সৌদি কোম্পানিটির মহাব্যবস্থাপকের সঙ্গে দেখা করেন। ওই কর্মকর্তা জানান, বছর দুয়েক আগে বাংলাদেশ থেকে তাঁরা ৫০৮ জন কর্মী নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র দিয়েছিলেন এবং সেই কর্মীরা এসে কাজেও যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁদের আর কোনো কর্মীর প্রয়োজন নেই। তাই তাঁরা কোনো চাহিদাপত্রও দেননি। চাহিদাপত্র নকল করে বাংলাদেশের কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি তাঁদের এখানে পাঠিয়েছে। এভাবে ভুয়া চাহিদাপত্র তৈরি করে ইতিমধ্যে ৩০০ বাংলাদেশি কর্মী সৌদি আরবে এসেছেন বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। কোম্পানি আরও জানায়, এই ৩০০ কর্মীকে অবৈধভাবে থাকতে হবে এবং যেকোনো সময় সৌদি পুলিশের কাছে তাঁদের আটক হতে হবে।একই ভিসায় দুবার স্ট্যাম্প: দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর হারুন-অর-রশিদ অতি জরুরি উল্লেখ করে আরেক চিঠিতে জানান, শুক্কুর আহমেদ ও জাকির হোসেন নামের বাংলাদেশ থেকে আসা দুই শ্রমিক সম্প্রতি দূতাবাসে এসে জানান, সৌদি ভিসায় এখানে এসে তাঁরা বিপদে পড়েছেন। কেননা, সৌদি আরবে তাঁদের কোনো কাজ নেই। কোম্পানির কর্মী হিসেবে তাঁদের সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেই কোম্পানি তাঁদের গ্রহণ করেনি। তাঁরা দুজনই রিক্রুটিং এজেন্সি আল শিকদার ইন্টারন্যাশনালের (আরএল নম্বর ৫১৪) মাধ্যমে সৌদি আরবে আসেন এবং তাঁদের চার লাখ টাকা দিতে হয়েছে।হারুন-অর-রশিদ জানান, ছয় মাস ধরে কম্পিউটারের মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। এর আগে পুরোনো পদ্ধতিতে ইস্যু করা ভিসাও নতুন ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান একই ভিসায় আবার স্ট্যাম্প করে সৌদি আরবে লোক পাঠাচ্ছে। ফলে কেউ এখানে এলেই ধরা পড়ে যাবেন। এতে প্রকৃত ও ভুয়া ভিসার মাধ্যমে আসা কর্মীরা বিপদে পড়বেন।সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম ২৯ আগস্ট তিন পৃষ্ঠার আরেকটি ফ্যাক্সবার্তায় জানান, আল রিয়াদ মেইনটেনেন্স অ্যান্ড কন্ট্রাটিং এস্টাবলিশমেন্ট কোম্পানিকে চলে আসা বাংলাদেশিদের চাকরির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তারা জানিয়ে দেয়, এদের চাকরি দিলে সৌদি আইন অনুযায়ী তারাও সমস্যায় পড়বে। এসব কর্মীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য সহায়তা চাইলে তারা জানায়, সেটিও তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রদূত সমস্যা সমাধানে অবৈধ জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান।জরুরি চিঠিগুলোর কী অবস্থা: শ্রম, কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, গত ১২ আগস্ট প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি জরুরি চিঠি পাঠায় সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস। তাতে ভিসা জাল করে এখানে আসার বিষয়টি জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২০ জুন সৌদি দূতাবাস থেকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আরেকটি চিঠি আসে। তাতে একই ভিসা দুবার স্ট্যাম্প করে সৌদি আরবে লোক পাঠানোর বিষয়টি জানানো হয়। এ ছাড়া গত ২১ আগস্ট রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে চিঠি পাঠান। তাতেও জালিয়াতির বিষয়টি উল্লেখ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রম, কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাফায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সৌদি আরবের শ্রমবাজারকে সরকার খুবই গুরুত্ব দেয়। কাজেই অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে লাইসেন্স বাতিল করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অভিযুক্তরা যা বলেন: জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল শিকদার ইন্টারন্যাশনাল ও মেসার্স মাহা ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে এসব অবৈধ তত্পরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে। দূতাবাস থেকেও বিষয়টি জানিয়ে ঢাকায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর অপতত্পরতা বন্ধ হয়নি।মেসার্স আল শিকদার ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইসমাইল শিকদার। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনা ভুয়া ভিসায় সৌদি আরবে লোক পাঠানোর অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে কোনো চক্র এ কাজ করতে পারে। এ কারণে তিনি শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।মেসার্স মাহা ইন্টারন্যাশনালের মালিক আল আমিন জুয়েল। তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শাহীন সরকার বলেন, তাঁরা কয়েক বছর ধরে সৌদি আরবে লোক পাঠাচ্ছেন। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে একটি চক্র ষড়যন্ত্র করছে।জানা গেছে, এই দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বনানী ও গুলশানের আরও অন্তত ১২টি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে এভাবে লোক পাঠাচ্ছে। তাদের ব্যাপারে অভিযোগও জমা পড়েছে।আরও যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ: অবৈধ এই তত্পরতার সঙ্গে গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল, হক ওভারসিজ, ইসমাইল রিত্রুদ্ধটিং হাউজ, এনাম ইন্টারন্যাশনাল, পিএন এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি ঢাকা লিমিটেড, আনন্দ ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল, সরকার রিত্রুদ্ধটিং এজেন্সি লিমিটেড, মানকো ওভারসিজ ও লুম্বিনি ইন্টারন্যাশনাল জড়িত বলে অভিযোগ আছে।সৌদি দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, মক্কার আল হোনাফ গ্রুপের ভিসা নকল করছে ঢাকার ইসমাইল রিত্রুদ্ধটিং লিমিটেড হাউজ ও সরকার রিত্রুদ্ধটিং এজেন্সি। তোয়াইফ গ্রুপের ভিসা নকল করছে এনাম ইন্টারন্যাশনাল ও জিএমজি ইন্টারন্যাশনাল ও গড গিফট ইন্টারন্যাশনাল। সরকার রিত্রুদ্ধটিং এজেন্সি জেদ্দার আলোয়ান কোম্পানির ভিসাও নকল করছে। ইসমাইল রিত্রুদ্ধটিং সম্প্রতি ১/১১/১৪২৮ হিজরি এই তারিখ দিয়ে ১১০১২০০৭৪০ নম্বরে একটি ভিসা ইস্যু করে। কিন্তু আল হোনাফ গ্রুপ বাংলাদেশ থেকে কোনো লোক নিচ্ছে না এবং এটি দুই বছর আগের চাহিদাপত্র।বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, সৌদি প্রবাসী প্রভাবশালী এক চিকিত্সক এবং তাঁর ভাই সর্বপ্রথম ভিসা জালিয়াতি শুরু করেন। এরপর তাঁরা এ কাজ করার জন্য আনন্দ ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল নামের আরেকটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স কেনেন। তাঁরা সবচেয়ে বেশি লোক পাঠিয়েছে জেদ্দার কুতুব এস্টালিবশমেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে। এই প্রতিষ্ঠানটি ইনিশিয়াল কোম্পানি নামেও পরিচিত। সৌদি দূতাবাস থেকে বাংলাদেশে পাঠানো চিঠিগুলোতেও এই ইনিশিয়াল কোম্পানির নাম আছে। এ ছাড়া সৌদি আরবের আল নাদা এস্টাবলিশমেন্ট, আল রিয়াদ কোম্পানি, হোসেন আলী এস্টাবলিশমেন্ট, আল তেরিফি এস্টাবলিশমেন্ট ও রিয়াদের খলুদ এস্টাবলিশমেন্টের নামে ভুয়া চাহিদাপত্র করে বাংলাদেশ থেকে লোক পাঠানো হচ্ছে।এ ব্যাপারে জানতে ইসমাইল রিত্রুদ্ধটিং এজেন্সির স্বত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন হাওলাদারের মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করা হলে হুমায়ুন কবির নামের একজন ফোন ধরেন। তিনি জানান, ইসমাইল সাহেব বর্তমানে সৌদি আরবে আছেন। ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে হুমায়ুন বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আছে। তিনি একসময় সেখানে চাকরি করতেন। তবে এখন চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।এনাম ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী এনামুল হকের কাছে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ সম্পর্কে কোনো কথা না বলে তাঁর অফিসে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানান।আনন্দ ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী কবির হোসেন, গড গিফটের আমিনুল ইসলাম মজিদ, মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। সরকার রিত্রুদ্ধটিং এজেন্সির চেয়ারম্যান আবুল বাশারের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। তাঁর বাসার টেলিফোনে যোগাযোগ করলে জানানো হয়, তিনি ব্যস্ত আছেন। কথা বলতে পারবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.