শরিফুল হাসান
হিমালয় কতোটা অপূর্ব বলে বোঝানো যাবে না! হিমালয় পর্বতমালার এই ছবিগুলো দুই ঘণ্টা আগে আমার মোবাইলে তোলা। শরতের ঝকঝকে আকাশ আর মিষ্টি রোদ যখন হিমালয় পর্বতমালায় পড়ছিল সেই দৃশ্যে চোখ ও মন দুটোই জুড়িয়ে যায়।
এ যেন হঠাৎ প্রাপ্তি। আসলে অভিবাসন বিষয়ক ছয়টি দেশের আঞ্চলিক একটা মিটিংয়ে প্যানেলিস্ট হিসেবে যোগ দিতে নেপালে গিয়েছিলাম। সময় এতোটা কম ছিল যে মিটিংয়ের আগের রাতে গিয়ে পৌঁছেছি। মিটিং শেষে আবার এয়ারপোর্টে। ক্লান্তি ও টানা মিটিংয়ে হোটেল থেকেও বের হতে পারিনি।
তবে আজ ঘুম থেকে উঠে ভোরে কাঠমান্ডুতে যেখানে ছিলাম সেই হোটেল হিমালয়ের ছাদে উঠলাম। আকাশ পরিস্কার ছিল বলে হিমালয়ের কিছুটা দেখলাম। তবে বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট যখন কাঠমান্ডু ছাড়ার পর আকাশ থেকে হিমালয় পর্বতমালার এই ছবিগুলো মুগ্ধতা নিয়ে দেখলাম। আপনারাও দেখতে পারেন।
অপূর্ব। কিন্তু জীবনটা সবসময় এতো অপূর্ব না। এই যে দেখেন ঢাকায় নেমে বাসায় গিয়ে বাচ্চাটার মুখ দেখাবো সেটাও হচ্ছে না।
বরং সাভারে ব্র্যাকের সিডিএমে ছুটে যাচ্ছি দুদিনের আরেকটি একটা পোগ্রামে যেখানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এর প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা থাকবেন। যেহেতু আমরাই আয়োজক বোঝেন কী অবস্থা!
ফ্লাইট ছাড়ার এক সেকেন্ড আগেও তাই নানা বিষয়ে সহকর্মীদের সাথে কথা বলছিলাম। তবে আকাশে উঠে হিমালয় দেখে সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেল!ভীষণ ক্লান্তিতে কিংবা হিমালয় বা প্রকৃতির এমন রুপ দেখলে মনে হয় সব ছেড়ে বেরিয়ে পড়ি।
শহর থেকে বন্দর দেশ থেকে দেশ, মানুষ আর অসাধারণ প্রকৃতি দেখি। আবার যখন কাজে ডুবে যাই তখন মনে হয় সবাই মিলে যদি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি সেটাও তো অমূল্য।