শরিফুল হাসান
মধ্যপ্রাচ্যের অসাধারণ সব মসজিদ বিশেষ করে এর স্থাপত্য আমার বেশ লাগে। আমি সুযোগ পেলেই এই মসজিদগুলো দেখি। নামাজ পড়ি। এখানে বড়দের সাথে ছোট্ট বাচ্চারা মসজিদে আসে, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এমনকি কিছুটা দুষ্টামিও।
বাচ্চাদের এই কলকাকলি আমার বেশ ভালো লাগে বাংলাদেশে অনেক সময় দেখি ছোট বাচ্চারা মসজিদে হাসলে বা একটু দুষ্টুমি করলে বিরক্ত হন। বকা দেন। আরবে আমি তেমনটা দেখিনি। আমার মনে হয় বাচ্চারা মসজিদে আসবে, উচ্ছ্বাস প্রকাশ বা একটু দুষ্টমি করবে এটাও এক ধরনের সৌন্দর্য।

আজ আছরের নামাজ পড়েছি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহর বৃহত্তম মসজিদে। প্রায় দুই লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে এটি নির্মিত। মসজিদের ভিতরে ৫,০০০ জনসহ মোট ২৫,০০০ জন নামাজ পড়তে পারে। আছে নারীদের জন্য আলাদা নামাজের জায়গা। মসজিদটিতে একটি বিশাল গন্থাগার রয়েছে।

মসজিদ প্রাঙ্গণের চারপাশে দর্শনার্থীদের হাঁটার জায়গা আছে। আছে জাদুঘর এবং ঝর্ণা। রাতে মসজিদের সব আলো যখন জ্বলে দারুণ লাগে। মসজিদটি অমুসলিমসহ যে কোন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।এর আগে দুপুরে জুমার নামাজ পড়েছি শেখ রশিদ বিন মাকতুম বিন মসজিদে। সেখানে বাচ্চাদের কলকাকলি ভালো লেগেছে।

আমার খুব মনে হয় আমাদের ভেতরের মানুষটাকে বোধসম্পন্ন করা সবচেয়ে জরুরি যাতে করে আমরা সবাই সবাইকে ভালোবাসতে পারি। গড়ে তুলতে পারি সম্প্রীতি। পরষ্পরকে শ্রদ্ধা, সম্প্রীতি আর ভালোবাসাই পারে একটা মানবিক পৃথিবী গড়তে।