পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে : সাঈদ খোকন

Spread the love

শরিফুল হাসান

আজ দায়িত্বের দুই বছর পূর্ণ করলেন ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়র। নির্বাচনের সময় নাগরিকদের কাছে তাঁদের প্রতিশ্রুতি ছিল অনেক। গত দুই বছরে তার কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন, কাজ করতে গিয়ে কী ধরনের সমস্যায় পড়ছেন এবং আগামী দিনে তাঁদের পরিকল্পনা কী—তা জানতে মেয়রদের মুখোমুখি হয়েছে প্রথম আলো। গত বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের বনানীর বাসায় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বার্তা সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী ও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শরিফুল হাসান

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন: মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন l ছবি: জাহিদুল করিম
মোহাম্মদ সাঈদ খোকন: মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন l ছবি: জাহিদুল করিম

প্রথম আলো: মেয়র হিসেবে দুই বছর পার করলেন। আপনাকে অভিনন্দন। গত দুই বছরে আপনি কী কী কাজ করলেন?

সাঈদ খোকন: ঢাকা প্রায় সাত শ বছরের প্রাচীন নগরী। কেউ বলে চার শ বছরের পুরোনো। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ঢাকা আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছে। চার শ বা সাত শ বছরের হিসাব করলে দুই বছর কোনো সময়ই না। আবার একজন মেয়রের পাঁচ বছরের মেয়াদকালের বিবেচনায় দুই বছর অনেক সময়। শতকরা ৪০ ভাগ সময় পার হয়ে গেছে। গত দুই বছরে আমি মৌলিক বিষয়গুলোর দিকে নজর দিয়েছি। এখন স্মার্ট ঢাকা গড়ার দিকে নজর দেব।

প্রথম আলো: এই দুই বছরে কোন কাজটি করে আপনি নিজে সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট হয়েছেন?   

মেয়র: এই শহরের ৬০ শতাংশ মানুষ পায়ে হেঁটে চলে। মাত্র ৫ থেকে ৬ শতাংশ লোক গাড়িতে চলাচল করে। সে কারণেই ফুটপাত দখলমুক্ত রাখা একটা বড় কাজ। এটা যে আমরা করতে পারব, তা কেউ ভাবতেও পারেনি। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, নিউমার্কেট, নীলক্ষেতের ফুটপাত মুক্ত করা। ইতিমধ্যে এই চ্যালেঞ্জে আমি শতভাগ সফল হয়েছি। এভাবে শহরের অন্যান্য ফুটপাতও পথচারীবান্ধব করা হবে। এই কাজ করতে গিয়ে আমি অনেক বাধা পেয়েছি। মুক্ত করার পরও গুলিস্তান-মতিঝিল এলাকায় আমাদের নিয়মিত নজরদারি করতে হচ্ছে। অনেকেই বলেছিলেন আমরা পারব না। আমরা করে দেখিয়ছি। হকারদেরও আমরা ফেলে দিতে পারব না। তাঁদের জন্য সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনে দিলকুশা, নবাবপুর রোড, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলসংলগ্ন, সেগুনবাগিচা ও বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকায় পাঁচটি হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁদের পুনর্বাসনের জন্য তালিকাও করা হয়েছে।

প্রথম আলো: দ্বিতীয় বছর পার করে মেয়র হিসেবে আপনি নিশ্চয় নাগরিক আর গণমাধ্যমের আতশিকাচের নিচে আছেন। শুধু এ কটি ফুটপাত দিয়ে কি তাদের সন্তুষ্ট করা যাবে?

মেয়র: আমি যখন করপোরেশনের দায়িত্ব নিই, তখন ডিএসসিসি ছিল অভিভাবকহীন, বিশৃঙ্খল। আর ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার ক্ষেত্রে সমতা রক্ষা করা হয়নি। অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের যে মোট রাজস্ব আয় ছিল, এখন তার ৬৫ শতাংশ আদায় করে ঢাকা উত্তর, আমরা পাই মাত্র ৩৫ শতাংশ। কিন্তু অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনে মোট যত টাকা খরচ করত, তার ৬৫ শতাংশ ব্যয় করতে হয় দক্ষিণে। আমি যখন দায়িত্ব নিই ৩৫০ কোটি টাকার দেনা ছিল করপোরেশনের। শহরের ১০-১৫ শতাংশ রাস্তা মাত্র ভালো ছিল। অধিকাংশ এলাকায় সড়কবাতি ছিল না। সেখানে আজকে শহরের সব রাস্তা মোটামুটি ভালো। নাগরিকদের যাতায়াত ও চলাচলের সুবিধার্থে ২১৫ কিলোমিটার রাস্তা ও ৪৭ কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণ করা হয়েছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ২৩৯ কিলোমিটার নর্দমা নির্মাণ, ৩১০ কিলোমিটার ড্রেন পরিষ্কার করা হয়েছে। বর্তমানে আরও ১৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ১৪০ কিলোমিটার ড্রেন, ২৬ কিলোমিটার ফুটপাতের নির্মাণকাজ চলছে। নিরাপদে সড়ক পারাপারের জন্য ৮টি পদচারী–সেতু নির্মাণ করেছি। আরও ৯টির নির্মাণ ও ১৭টির সংস্কারকাজ চলছে। এখন শহরের ৮৫ শতাংশ রাস্তা ভালো। বাকি যে ১৫ শতাংশ খারাপ, যার কাজ এ বছরেই শেষ হয়ে যাবে।

এ ছাড়া নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তায় অলিগলিতে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ৩৭ হাজার এলইডি বাতি স্থাপনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার এলইডি বাতি স্থাপন করা হয়েছে। আগামী জুনের মধ্যে বাকি বাতিগুলো লাগানো হবে। এই বাতি সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড; প্রয়োজন অনুযায়ী আলো কমানো-বাড়ানো যায়। নগর ভবনে এর নিয়ন্ত্রণকক্ষ আছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। বাতি নষ্ট হলে তা নিয়ন্ত্রণকক্ষের ডেসবোর্ডে দেখা যাবে।   

প্রথম আলো: যানজট নগরবাসীর একটি বড় সমস্যা। যদিও এর সুরাহা মেয়রের কাজ নয়। তবু নির্বাচনের আগে আপনার মূল যে পাঁচটি প্রতিশ্রুতি ছিল, তার মধ্যে একটি ছিল নগরীর যানজট নিরসন। এখন আপনার উপলব্ধি কী?

মেয়র: যানজট দূর করা মেয়রের কাজ নয়। কিন্তু অন্য সংস্থাগুলোতে যেহেতু জনপ্রতিনিধি নেই, তাই মানুষ মেয়রের কাছেই সব সমাধান আশা করে। যানজট সমস্যা দূর করতে ও ঢাকা শহরের পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিআরটিএ, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও ডিএমপির সহযোগিতায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চলাচলকারী ২০ বছরের পুরোনো মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এখন পর্যন্ত শতাধিক যানবাহন ডাম্পিং, লাইসেন্স না থাকা ও বিভিন্ন অভিযোগে ৮১ জন চালককে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড, ১ হাজার ২৩০টি মামলা দায়ের ও প্রায় ৩০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে। এতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ইতিমধ্যে কিছুটা শৃঙ্খলা এসেছে। আর তাতে ২০ শতাংশ যানজট কমেছে বলে আমরা বলতে পারি। ক্রমান্বয়ে তা সহনীয় পর্যায়ে আনা হবে। এই কাজটা সবার, বিশেষ করে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের।  

প্রথম আলো: আরেকটি বড় প্রতিশ্রুতি ছিল বুড়িগঙ্গা নদীকে দূষণমুক্ত করা, এর নাব্যতা বাড়ানো, উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন। বুড়িগঙ্গা নিয়ে কি আদৌ কিছু এগোতে পেরেছেন?

মেয়র: ঢাকা শহরের ঐতিহ্য বুড়িগঙ্গা নদী। এই শহরের পরিবেশ সমুন্নত রাখতে এবং বুড়িগঙ্গা উদ্ধারে সরকার একটি প্রকল্প নিয়েছে, যার প্রধান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। আমিও সেই কমিটিতে আছি। আমরা বুড়িগঙ্গার তীরে ১৮ কিলোমিটারের একটি দৃষ্টিনন্দন ড্রাইভওয়ে এবং ওয়াকওয়ে (হাঁটার জায়গা) করার জন্য পরীক্ষামূলক প্রকল্প হাতে নিয়েছি। অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (বিএমডিএফ)। শিগগির এই প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ করা হবে।

প্রথম আলো: নগরবাসীর একটা বড় অভিযোগ জলাবদ্ধতা নিয়ে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে। বিশেষ করে মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর এলাকায়। জলাবদ্ধতা সমস্যা কি নিরসন করা সম্ভব?

মেয়র: জলাবদ্ধতা নিরসন করা সিটি করপোরেশন বা আমার কাজ নয়। এর দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। তবে নাগরিকদের প্রত্যাশা পূরণে করপোরেশনকে এ কাজেও যুক্ত হতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে শান্তিনগরের ড্রেনেজ নির্মাণের একটি বড় কাজ শুরু হয়েছে। কাজটি জুলাইয়ে শেষ হলে আগস্ট থেকে শান্তিনগরের জলাবদ্ধতা দূর হবেই। আর জুলাইয়ে মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হলে আমরা সেখানকার রাস্তাগুলো ঠিক করে দেব। জুরাইনের জলাবদ্ধতার কারণ ডিএনডি বাঁধ। নাজিমউদ্দিন রোডের সমস্যা ৩০-৪০ বছরের পুরোনো। আমরা এখনো এখানকার কাজটি শুরু করতে পারিনি। এই কয়েকটি জায়গা বাদ দিলে বলতে পারি, চলতি বছরের বর্ষ মৌসুমে ৮০ শতাংশ এলাকা জলাবদ্ধমুক্ত থাকবে। এর অংশ হিসেবে ১১টি খাল মুক্ত করার চিন্তা আছে। নন্দীপাড়া খালের নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে ইতিমধ্যে।

প্রথম আলো: জলাবদ্ধতা, খাল রক্ষার সঙ্গে নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটা যোগ আছে। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন মনে হচ্ছে নগরীর বড় সমস্যা। রাস্তায় সারা দিন ময়লা নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি চলতে থাকে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?

মেয়র: লোকজন তো সারা দিনই ময়লা ফেলে। তাই সকালের পরেও রাস্তায় ময়লা দেখা যায়। নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রায় ৫ হাজার ৩০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। এই কর্মীদের আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ট্র্যাক করছি, তাঁরা ঠিকমতো কাজ করছেন কি না। সকাল হওয়ার আগেই যেন ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে বলেছি। কারণ, সকালে বাচ্চারা স্কুলে যায়। লোকজন অফিসে যায়।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ২৩টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) স্থাপনের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে পাঁচটি এসটিএস নির্মাণ হয়েছে। এখানে বড় সমস্যা হলো জায়গার সংকট। এ ছাড়া যত্রতত্র ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার জন্য ৫ হাজার ৭০০টি ওয়েস্ট বিন স্থাপন করা হয়েছে। এসব বর্জ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনের সুবিধার্থে চলতি বছর ৪৭টি বর্জ্যবাহী গাড়ি ও ১২২টি নতুন কনটেইনার কিনেছি। বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করতে মাতুয়াইল স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণে ৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করার কাজ চলছে। তবে শহর পরিষ্কার রাখতে নগরবাসীরও সচেতনতা প্রয়োজন।

প্রথম আলো: রাস্তাঘাটে আবর্জনার পর বাড়িঘরে মশার উপদ্রব। এটা তো নাগরিক যন্ত্রণা বাড়িয়ে তুলছে। অভিযোগ রয়েছে, এই কীটনাশকে মশা মরে না। মশার প্রজননক্ষেত্র ডোবা, খাল ইত্যাদি পরিষ্কার করা হয় না।

মেয়র: মশার উপদ্রব কমাতে শহরের প্রতিটি এলাকায় ওষুধ ছিটানো হয়। সূত্রাপুর, কোতোয়ালি, পল্টনসহ ঢাকার ৬৫ শতাংশ এলাকায় মশা নেই বললেই চলে। তবে যে এলাকায় ঝোপঝাড় ও জলাশয় আছে, সেসব এলাকায় মশার উপদ্রব আছে। দুই বছরে ২ লাখ ১৫ হাজার লিটার অ্যাডালটিসাইট, ৯০ হাজার লিটার ম্যালেরিয়া অয়েল-বি ছিটানো হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা বাড়লে মশা আরেকটু নিয়ন্ত্রণে আসবে।

প্রথম আলো: শিশুদের জন্য বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেক কথা হয়। এগুলোর অবস্থা কখনো ভালো থাকে না। বেদখল আছে কিছু কিছু। কী করলেন এ ব্যাপারে?

মেয়র: নাগরিকদের শরীরচর্চা ও বিনোদনের জন্য ‘জল সবুজে ঢাকা’ শীর্ষক কর্মসূচির মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্ক উন্নয়নের কাজ চলমান আছে। এ বছরই এ কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া ২১টি ব্যায়ামাগারের মধ্যে ১৫টি চালু আছে ও ৬টির সংস্কার চলছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য তিনটি নতুন কমিউনিটি সেন্টার করা হয়েছে।

প্রথম আলো: ডিজিটাল নগর প্রতিষ্ঠার একটা প্রতিশ্রুতি বা স্লোগান আপনার ছিল। সেই লক্ষ্যে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?

মেয়র: নাগরিক সেবা সহজ করা, করপোরেশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় এবং ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। ৫৭টি ওয়ার্ডে নগর ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ডিজিটাল হাজিরা চালু, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য লোকেশন ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু, সিসি ক্যামেরা স্থাপন, শতভাগ ই-টেন্ডারিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ই-ফাইলিং কার্যক্রম চালুর প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া ড্রোন দিয়ে ওপর থেকে ঢাকার জিআইএস ম্যাপ করার উদ্যোগ নিচ্ছি। সব এলাকায় সিসি ক্যামেরা থাকবে। সেখানে ডিজিটাল সুইচ থাকবে, যাতে বোতাম চেপে যে কেউ বিপদের সময় সাহায্য চাইতে পারেন। 

প্রথম আলো: এই প্রথম ঢাকাবাসী পাশাপাশি দুজন মেয়র পেল। এতে নাগরিকদের মধ্যে তুলনা করার একটা প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। আপনি এটাকে কীভাবে দেখেন? আপনি কি কোনো প্রতিযোগিতা অনুভব করেন? 

মেয়র: আমরা দুজন মেয়র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি। অনেকবারই একসাথে আমরা বসেছি। তবে আমাদের মধ্যে সুস্থ ও ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা আছে। আমি যেভাবে কাজ করছি তাতে আমার আশা, অচিরেই উত্তরের মানুষ উন্নয়ন দেখতে দক্ষিণে আসবে।

প্রথম আলো: আপনার কি কখনো এমন মনে হয়েছে যে দুই মেয়রের কারও প্রতি গণমাধ্যমের পক্ষপাত আছে?

মেয়র: (সহাস্যে) আমি শুধু বলব, গণমাধ্যম নিরপেক্ষ থাকুক। এতেই আমি সন্তুষ্ট থাকব।

প্রথম আলো: তৃতীয় বছরে আপনার পরিকল্পনা কী?

মেয়র: এত দিন মৌলিক সমস্যাগুলোর সমাধান করেছি। এবার স্মার্ট ঢাকা গড়ার পালা। ডিজিটাল আর স্মার্ট সিটি গড়ার সব কাজ হবে ২০১৮ সালে। নগরবাসীকে বলতে চাই, পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। এখন সেগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। দিনে দিনে উন্নয়ন আরও দৃশ্যমান হবে। নগরিকদের বলব, আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখুন। আমি আপনাদের সবুজ আধুনিক একটি ঢাকা উপহার দিতে অবশ্যই সক্ষম হব। 

প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।

সাঈদ খোকন: প্রথম আলোকেও ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.