কর্মী নিয়োগে সিন্ডিকেটের অভিযোগ

Spread the love

শরিফুল হাসান

বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে কর্মী নিয়োগে যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ মালয়েশিয়ার সেই প্রতিষ্ঠান বেস্টিনেটের অন্তত আটজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)।

রিক্রুটিং এজেন্টদের মূল হোতা হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার দাতো মোহাম্মদ আমিনের কোম্পানি এই বেস্টিনেট। রিক্রুটিং এজেন্টদের সিন্ডিকেটের মূল হোতা হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার দাতো মোহাম্মদ আমিন। তাদের অনলাইন সফটওয়্যার ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এফডব্লিউসিএমএস) মাধ্যমে কর্মী নিয়োগের অনুমোদন হয়।

মালয়েশিয়ার সংবাদপত্র দ্য স্টার জানিয়েছে, বিদেশি শ্রমিকদের জন্য কোটা অর্জনে নিয়োগকর্তা বা এজেন্টদের সহযোগিতা করতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গতকাল বুধবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রতি শ্রমিকের জন্য বাংলাদেশি টাকায় ১৭ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন তারা।

গত মে মাস থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬১টি আবেদন প্রক্রিয়া করেছে বেস্টিনেট।বেস্টিনেটের এই এফডব্লিউসিএমএস সিস্টেমটি ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্যও ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু এই কাজে প্রতি শ্রমিকের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত গ্রহণের অভিযোগে মালয়েশিয়া সরকার এই নিয়োগ স্থগিত করে।

সে সময় বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়া সরকার ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সির একটি সিন্ডিকেটকে অনুমতি দেয়। মাহাথির সরকার ক্ষমতায় এসে এই প্রক্রিয়া বাতিল করে। আফসোস মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের জন্য গত বছরের ডিসেম্বরে চুক্তি হলেও ফের মালয়েশিয়া ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেশন চায় এবং হোতা সেই একই কোম্পানি।

বাংলাদেশ চিঠি দিয়ে ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেটের বিরোধিতা করলেও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী অনড় ছিলেন। দেখা যাক মালয়েশিয়ার দুর্নীতি বিরোধী এই তদন্ত কোথায় যায়‌। আফসোস আমাদের দুর্নীতি কমিশন এসব সিন্ডিকেট দেখে না! অথচ এই সিন্ডিকেশনের কারণে অভিবাসন খরচ বেড়ে যায়। দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ বিদেশগামীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.