স্বাস্থ্য খাতের আর যেন সর্বনাশ না হয়!

Spread the love

6/8/20

করোনার এই সময় যে মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ, সেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুটো নির্দেশনা দেখে হতাশ হলাম। এর মধ্যে একটি হলো, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে তা করতে হবে।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবকে লেখা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে এমনটি বলা হয়েছে। কেন রিজেন্টের অভিযানে খুব কষ্ট পেয়েছেন আপনারা ? এই চিঠি অনুযায়ী তো রিজেন্টে অভিযান চালাতে চালানোর আগে পরামর্শ করতে হতো। সেটাই কী আপনারা চাইছেন?

ও হ্যা, একইদিনে আরেকটা নির্দেশ গেছে। এখন থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পূর্ব অনুমতি ছাড়া গণমাধ্যমে কর্মকর্তাদের কথা বলতে নিষেধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর এক চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখার একজন যুগ্ম সচিব এই আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

আমি এগুলো দেখি আর ভীষণ কষ্ট পাই। আচ্ছা তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে কী এটা সঙ্গতিপূর্ণ? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী সাবমেরিন আর মিগ বিমান কিনছে যে কেউ কথা বলতে পারবে না? সারা দুনিয়া যেখানে স্বচ্ছতা আর জবাবদিহিতার কথা বলছে সেখানে আপনারা এসব নিয়ম কেন করেন?

আমি খুব খুশি হতাম যদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলতো, এই দেশের যে কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যে কোন সময় যে কোন বাহিনী অভিযান চালাতে পারবে। আর যে কোন অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে যে কেউ কথা বলতে পারবে। এসব নিয়ে সততার সঙ্গে যারা কথা বলবে, যারা অনিয়ম দুর্নীতি ধরিয়ে দেবে তাদের পুরুষ্কৃত করা হবে।

আমি তো বলবো প্রতিটা মন্ত্রণালয়ে কে কোন টেন্ডার পাচ্ছে, কোন মানের জিনিষ দিচ্ছে, কে কতো টাকা বিল নিচ্ছে, কোথা থেকে কেনা হয়েছে, সরকারি অর্থ কীভাবে খরচ হচ্ছে, কোন প্রকল্পে কতো টাকা যাচ্ছে এগুলো সব ওয়েবসাইটে দিয়ে দেয়া উচিত।

মনে রাখবেন, যতো বেশি তথ্য প্রকাশ করবেন ততো জবাবদিহিতা বাড়বে, অনিয়ম বন্ধ হবে। আপনারা এগুলো না করে সব গোপন করতে চান কেন?

প্লিজ স্বাস্থ্য খাতের আর যেন সর্বনাশ না হয়! প্লিজ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করুন। এই দেশ আর দেশের মানুষের স্বার্থে সবকিছু স্বচ্ছ করুন, সুন্দর করুন। আপনাদের দোহাই লাগে!

Leave a Reply

Your email address will not be published.