সিটি করপোরেশন নির্বাচন

Spread the love

ভালো-মন্দের পার্থক্য করতে মানুষ জানে: আনোয়ার হোসেন

শরিফুল হাসান


নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভালো ও মন্দের পার্থক্য করতে জানে। সন্ত্রাসের ভয়ে মানুষ একসময় আতঙ্কিত ছিল। কিন্তু এই অত্যাচার-জুলুমের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জবাসী কথা বলতে দেখেছে একজন পৌর মেয়রকে। দেখেছে তাঁর উন্নয়নও। কাজেই ৩০ অক্টোবর ভোটাররা মন্দকে প্রত্যাখ্যান করে ভালোকেই বেছে নেবেন।গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেন নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় সমর্থন, সেলিনা হায়াৎ আইভীর নির্বাচন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থানসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি।সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শামীম ওসমানকে দলের সমর্থন দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের কোনো মতই নেওয়া হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এস এম আকরামও এ বিষয়ে কিছু জানেন না। আমরাও জানি না। কেন্দ্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত। নেতা-কর্মীরা এ জন্য ব্যথিত। কারণ, যাঁকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে, তিনি এমন ব্যক্তি যে যখন দল বিপদে, তখন দেশ ছেড়ে পালান।শামীম ওসমানকে সমর্থন দেওয়ার বিরোধিতা কেন করছেন, জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সারা দেশ জানে, নারায়ণগঞ্জে কারা সন্ত্রাস ছড়িয়েছে। কেন এখনো নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ বলা হয়। দখল, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই তারা করেনি। এমন ব্যক্তিকে মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন দেওয়াটা শোভন হয়নি।’আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অতীতেও এমন ভুল করেছে। ১৯৭৪ সালে সে সময়ের জনপ্রিয় নেতা আলী আহাম্মেদ চুনকাকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়নি। কিন্তু জনগণ তাঁকে ঠিকই বিজয়ী করে এনেছে। আমার কাছে মনে হয়, এবারও তা-ই হবে।’আনোয়ার বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসার কারণেই সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নির্বাচন করতে হচ্ছে। আমরাও তাই তাঁর সঙ্গে আছি।’ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভয় পেয়ে হোক আর যেকোনো কারণেই হোক, দলের একটি অংশ শামীম ওসমানের পক্ষে কাজ করছে। কারণ ওসমান পরিবারের বিপক্ষে কথা বলার সাহস কারও নেই। তাদের সঙ্গে পুলিশ আছে, প্রশাসন আছে। তাই দলের অনেকে ভয়ে শামীম ওসমানের পক্ষে কাজ করছেন।’আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচন করায় ভোটের ফলাফলে এর প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ সাধারণ মানুষ, দলের কর্মী সবাই আইভীর পক্ষে। নগরবাসী আইভীকে মেয়র পছন্দ করতে ভুল করবে না।নির্বাচন সম্পর্কে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় আমাদের নানাভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু এর পরও জনগণ রায় দিতে ভুল করবে না। কিন্তু রায় ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কা আছে। কারণ একজন সাংসদ বলছেন, ৩০ তারিখ সন্ধ্যায় তাঁরা শামীম ওসমানকে বিজয়ী ঘোষণা করবেন। কিন্তু ক্ষমতার জোরে কেউ রায় ছিনিয়ে নিতে চাইলে সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.