শরিফুল হাসান
প্রচণ্ড ভালোলাগা ও ভালোবাসা না থাকলে ১২ বছর একটা প্রতিষ্ঠানে কাটিয়ে দেয়া সহজ বিষয় না। আজ আমার সেই ভালোবাসার প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ২০০৫ সালে যখন যোগ দিয়েছিলাম প্রথম আলোর বয়স তখন সাত আর আমার নিজের বয়স তখন ২২। ২২ থেকে ৩৪। আমার তারুণ্যের ১২ টা বছর কাটিয়েছি প্রথম আলোতে।
প্রথম আলো শুধু আমার কাজের জায়গা না, ছিল আমার ঘরবাড়ি। আমার ভালোবাসা। সাংবাদিকতা আমার কাছে পবিত্র এক আমানত। সাংবাদিক হিসেবে এই দেশ আর দেশের মানুষের জন্য আমি আমার সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করেছি। বিনিময়ে এই দেশের তরুণরা আমায় যে ভালোবাসা দিয়েছে আমি জানি না বাংলাদেশে তেমন ভালোবাসা আর কয়জন পেয়েছে!
২০১৭ সালে প্রথম আলো ছেড়েছি। ওই যে বললাম সাংবাদিকতা ছিল আমার কাছে পবিত্র এক দায়িত্ব। সাংবাদিকতা পেশায় খারাপ কিছু দেখলেই আমার কষ্ট হয়। একইভাবে প্রথম আলোরও। আমি চাই প্রথম আলো যেন পথ না হারায়। একসময়ে যে স্লোগান ছিল যা কিছু ভালো তার সাথে প্রথম আলো, তাই যেন নয়। খারাপ কিছুর সঙ্গে যেন প্রথম আলো না থাকে।
ফেসবুকের মেমোরিজুড়ে আজ প্রথম আলোর স্মৃতি। শুধু ফেসবুক নয়, বাস্তবেও আমার মন জুড়ে আজ প্রথম আলোর স্মৃতি। ২০০৫ থেকে ২০১৭, এই ১২ বছরে প্রথম আলোর পুরোনো সংখ্যাজুেড়ে যেমন আমাকে পাওয়া যাবে তেমনি আমার মনজুড়ে পাওয়া যাবে অনেক ভালোবাসা, মান অভিমান। লিখতে গেলে মহাকাব্য লেখা যাবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আজ সবাইকে শুভেচ্ছা। সম্পাদক মতি ভাই, আনিসুল হক ভাই, সুমি আপা, মাসুম ভাই, লজ্জাত ভাই, টিপু ভাই, পিন্টু ভাই, শাহেদ ভাই, জাহিদ ভাই, আলিম ভাই, কামরুল ভাই, নজরুল ভাই, অরূপদা,শুভ ভাই, মোশতাক ভাই, তানভীর ভাই, ফারুক ভাই, সাবিহা আপা, অপু ভাই, বানিজ্য বিভাগ, বার্তা বিভাগ, বন্ধু অন্তু, ছোট ভাই রিয়াদ, জায়িফ, কতো কতো মানুষ! ঢাকার বাইরের প্রায় সব রিপোর্টারকে চিনি। প্রায় সবার সঙ্গে কাজ করেছি। আপনাদের সবাইকে মনে আছে আমার। ভালোবাসা সবার জন্য।
আমার কাছে ৪ নভেম্বর মানেই প্রথম আলো। শুভ সকাল প্রথম আলো। শুভ সকাল বাংলাদেশ।



