১০ দূতাবাসের ১২ শ্রম শাখায় চিঠি, চার মাসে জবাব চারটির
শরিফুল হাসান
জনশক্তি রপ্তানির বাস্তব অবস্থা এবং এ ক্ষেত্রে করণীয় জানতে প্রয়োজনীয় মতামত ও তথ্য চেয়ে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) গত জানুয়ারিতে বিদেশে বাংলাদেশের ১০টি দূতাবাসের ১২টি শ্রম শাখায় চিঠি পাঠিয়েছিল। এগুলোর মধ্যে আটটি শ্রম শাখা থেকে প্রায় চার মাস পরও ওই চিঠির জবাব পাওয়া যায়নি।বিএমইটি সূত্র জানায়, বিএমইটির মহাপরিচালক গত ১০ জানুয়ারি এ চিঠি দেন। কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, লিবিয়া, ওমান, সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা, আবুধাবি, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত প্রথম সচিব (শ্রম) কিংবা শ্রম কর্মকর্তার কাছে এ চিঠি দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত শুধু আবুধাবি, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও রিয়াদ থেকে চিঠির উত্তর এসেছে। বিএমইটির মহাপরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের বর্তমান অবস্থা, সমস্যা ও সম্ভাবনাগুলো খুঁজে বের করতে ওই চিঠি দেওয়া হয়। আটটি স্থান থেকে এখনো জবাব আসেনি। চিঠিতে যেসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল: বিএমইটি সূত্র জানায়, ওই চিঠিতে গত তিন বছরে জনশক্তি রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণ এবং এ ক্ষেত্রে করণীয়, আগামী পাঁচ বছরে সেখানে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা, পেশাভিত্তিক চাহিদা ও নিয়োগের বর্তমান প্রবণতা, সেখানে বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর বাস্তবায়নাধীন নতুন প্রকল্প, দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা, তাঁদের সমস্যা ও সমাধানে ব্যুরোর করণীয়, দেশে টাকা পাঠানোর বর্তমান ব্যবস্থা এবং এ ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলে তার সুপারিশ, শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ব্যুরো বা মন্ত্রণালয়ের করণীয় এবং এ সংক্রান্ত সুপারিশ জানতে চাওয়া হয়।সূত্র জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মোট ৭০ লাখ কর্মী আছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আশা করছে, এ বছর ছয় লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে যাবেন। ইতিমধ্যে জানুয়ারিতে ৩৩ হাজার ৮৪৭, ফেব্রুয়ারিতে ২৭ হাজার ৪৯, মার্চে ৩৮ হাজার ২৪৪ এবং এপ্রিলে ৩৫ হাজার ৬৪৭ জন কর্মী বিদেশ গেছেন। ২০০৯ সালে বিদেশে গেছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮ জন। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল আট লাখ ৭৫ হাজার ৫৫। মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে জনশক্তি রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণেই দূতাবাসগুলোতে চিঠি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে করণীয় জানতে চাওয়া হয়েছে।বিএমইটির পরিচালক (গবেষণা ও সিআরএম) নুরুল ইসলাম বলেন, দূতাবাসগুলোর শ্রম কর্মকর্তাদের কাছে চিঠিতে যেসব প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল, সেগুলোর জবাব পেলে তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ঠিক করবে। যে চারটির জবাব পাওয়া গেছে, সেগুলোর প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বাকিগুলোর জবাবের জন্য অপেক্ষা করা হবে।