শরিফুল হাসান
আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেটি উড়ির চর। বঙ্গোপসাগরের জলরাশি বেষ্টিত ছোট্ট এক জনপদ ‘উড়ির চর’ এই ২০২২ সালেও যেখানে আসা রীতিমতো যুদ্ধের মতো ব্যাপার। তারপরও এলাম কারণ এই বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা এবং অধিকাংশ উপজেলায় ঘুরেছি।
এখন এই বাংলার প্রতিটি প্রান্তের ধুলো পায়ে মাখতে চাই। আর উড়িরচরের ইতিহাস তো ঝড় জলোচ্ছ্বাসের বিরুদ্ধে লড়ার ইতিহাস।
১৯৭০-৭১ এই সময়ে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষাসন্দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম দিকে মোহনায় এই দ্বীপ জেগে উঠে। জন্মের কিছুদিন পর সন্দ্বীপের লোকজন এই দ্বীপে গিয়ে দেখতে পায় সমস্ত দ্বীপে ঘাস আর ঘাস।
এই ঘাসকে সন্দ্বীপের আঞ্চলিক ভাষায় উড়ি বলা হয়। আর এই উড়ি ঘাস থেকে এর নাম হয় ‘উড়ির চর’। সন্দ্বীপের বিভিন্ন এলাকা থেকে ভূমীহীন মানুষরা এখানে বসতি শুরু করে।
১৯৯১ সালের ঘুর্নিঝড়, ২০০৭ সালের সিডর, ২০০৯ সালের আইলার মত বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে বেঁচে আছে এই উড়ির চরের মানুষ। কাজেই তাদের তো লড়াকু বলাই যায়!