উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ ভোট
শরিফুল হাসান
বিচ্ছিন্ন দু-একটি ঘটনা ছাড়া গতকাল বুধবার খুলনার কয়রা ও দিঘলিয়া উপজেলার নির্বাচনী পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ।
বিএনপিসহ ১৮ দল বর্জন করায় দশম সংসদ নির্বাচনে খুলনার দিঘলিয়া ও কয়রা উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। এবার ‘নির্দলীয় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল ফিরে আসায়’ সবার উত্সাহ ছিল অনেক বেশি। ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
ব্রহ্মগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোহন কুমার ঘোষ বলেন, পরিবেশ ভালো। তাই ভোটারও বেশি। তিনি জানান, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ১১০ জন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক হাজার ৩৩৮ ভোট পড়েছে। দিঘলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানালেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের পর্যবেক্ষক শামসুর রহমান বলেন, পরিবেশ আসলেই ভালো। ভোটাররা অনেক উত্সাহ নিয়ে ভোট দিতে আসছেন। দিঘলিয়ায় ১৩ নম্বর চন্দনীমহল শিল্প সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে ১৯-দলীয় জোট সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইফুর রহমানের সমর্থকেরা চন্দনীমহল শিল্প সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে স্লোগান দিয়ে ভোটার স্লিপ দিচ্ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা করেন। এতে বিএনপির কর্মী সুমন (৩২), বাচ্চু (৩৫), সোহাগ (২৬) ও নুরউদ্দিন (৩০) আহত হন। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নির্বাচন শেষে খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, দারুণ ভোট হয়েছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটারদের উপস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখনই বলা যাবে না। তবে ৬৫% ভোট পড়েছে বলে ধারণা করছি।’