শরিফুল হাসান
আদানি গ্রুপের আর্থিক কেলেঙ্কারি এখন ভারতের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ বলছে, ভারতীয় পতাকায় শরীর ঢেকে দেশকে লুট করছেন আদানি। এই সেই আদানি যিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ।
মোদি ক্ষমতায় আসার পর স্বল্প সময়েই আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য ফুলেফেঁপে উঠেছে আদানির। শেয়ার কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে যা ইচ্ছে তাই করছেন। তথ্য বলছে, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দর থেকে শুরু করে একে একে বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র, খনি, ভোজ্যতেল, পুননবায়নযোগ্য জ্বালানি ইত্যাদি খাতে বিনিয়োগ করেছেন।
গণমাধ্যম ও সিমেন্ট খাতেও বিনিয়োগ করেছেন। দখল করেছেন ভারতের এনডিটিভি। এক কথায় বলতে গেলে ক্ষমতার জোরে লুটপাট। কিন্তু এবার বোধহয় শেষরক্ষা হবে না। আগামী নির্বাচনে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে নিশ্চয়ই!
আফসোস আমাদের দেশেও এমন বহু আদানি আছে যারা দুর্নীতি লুটপাট করে ফুলেফেঁপে উঠেছে। আফসোস আমরা তাদের বিচার করতে পারি না। অনেক সময় গণমাধ্যমে তাদের নামও বলতে পারে না।
আসলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা না হলে দেশপ্রেমের পতাকায় শরীর ঢেকে দেশকে লুটপাট করার এই সংস্কৃতি কোনদিন বন্ধ হবে না। এ কারণেই আমি সবসময় সুশাসনের কথা বলি। আসলে উন্নয়ন তখুনি টেকসই হবে যখন সুশাসন আসবে।
একটা দেশ তখুনি টেকসই হবে যেখানে মূল্যবোধ আর নৈতিকতার চর্চা হবে। জানি না এই দেশে কবে সুশাসন আসবে, কবে একটা সুন্দর দেশ দেখে যেতে পারবো। তবে আজীবন স্বপ্ন দেখে যাবো। কারণ বাংলাদেশ ছাড়া আমাদের অনেকের আর কোন বিকল্প নেই।