শরিফুল হাসান
টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে চলতি মৌসুমে তৃতীয় দফায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়েছে সিলেট মহানগরীসহ পাঁচ উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা। পরিস্থিতি খারাপ সুনামগঞ্জেও। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেক জায়গায় রাস্তাঘাট ডুবেছে।
বাসাবাড়ি ও দোকানে পানি উঠেছে। লাখো মানুষ পানিবন্দি। উদ্ধারকাজে বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।স্থানীয়রা বলছেন, সিলেট নগরীর অন্তত ১০টি এলাকা ছাড়াও জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও সদর উপজেলার অন্তত ৩ শতাধিক গ্রাম এরই মধ্যে প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জেও পরিস্থিতি ভালো না। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত। অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও বৈদ্যুতিক খুঁটি তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সিলেট নগরের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এমনটা হলে পুরো সিলেট জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে।এর আগে গত এপ্রিলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে অসময়ে বন্যা দেখা দেয়। এরপর মে মাসের মাঝামাঝিতে সিলেটে ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তৃতীয় দফায় পরিস্থিতি যেভাবে খারাপ হচ্ছে তাতে আমাদের সবার সিলেটের পাশে থাকা উচিত।
রাষ্ট্র-নীতি নির্ধারক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, আমাদের সবার ভাবনাজুড়ে এখন সিলেট হতে হবে। সবকিছু নিয়ে সর্বাত্মকভাবে আমাদের সিলেটবাসীর পাশে থাকতে হবে। বিশুদ্ধ পানি, ত্রাণ, শিশুখাদ্য এসব তো লাগবেই আমি মনে করি পানিবন্দি কয়েক লাখ মানুষকে কয়েকদিনের জন্য নিরাপদে সরিয়ে রাখাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
গবাদিপশুগুলোকে বাঁচাতে হবে। আপনারা জানেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেট বিভাগের ৮০ শতাংশ এলাকা এখন পানির নিচে। এর আগে কখনোই দেশের একটি বিভাগের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা ডুবে যাওয়ার মতো বন্যা হয়নি। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে।বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আজ থেকে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গণমাধ্যমের খবর বলছে, সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশ ইতিমধ্যে এলাকা ডুবে গেছে। বাকি তিন জেলার শহরের কিছু উঁচু স্থান, পাহাড়ি এলাকা এবং ভবন ছাড়া সবখানে এখন পানি। বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সুনামগঞ্জে অনেক স্থানে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র ও বৈদ্যুতিক খুঁটি তলিয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সিলেট নগরের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এমনটা হলে পুরো সিলেট জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে। তখন ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা ভালো বলতে পারবেন, তবে আমি মনে করি আমাদের সবার এখন হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে হবে। নীতিনির্ধারকরা নিশ্চয়ই কাজ করছেন। অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের যে কোন সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হলে জানাতে হবে। সিলেটবাসীর জন্য যে কোনভাবে পাশে দাঁড়াতে পারলে স্বস্তি পাবো।এর আগে গত এপ্রিলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে অসময়ে বন্যা দেখা দেয়।
এরপর মে মাসের মাঝামাঝিতে সিলেটে ১৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তৃতীয় দফায় পরিস্থিতি যেভাবে খারাপ হচ্ছে তাতে আমাদের সবার সিলেটের পাশে থাকা উচিত। শুধু সিলেট বিভাগ নয়, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটসহ আরো কিছু এলাকায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। সবজায়গাতেই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আল্লাহ আমাদের রহমত করুন।