শরিফুল হাসান
অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়ে বেশ সংকটে আছে তুরস্ক। ভৌগোলিকভাবে একই সঙ্গে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত বলে মানবসভ্যতার ইতিহাস জুড়েই এশিয়া ও ইউরোপের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে তুরস্ক । আর সেই তুরস্কে অনিয়মিত অভিবাসী বেড়েই চলেছে বিশেষত যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিক।
এ ছাড়া অনিয়মিত পন্থায় আসা পাকিস্তানি নাগরিকসহ কয়েক লাখ অভিবাসীকে গত কয়েক বছরে আটক করেছে দেশটি। এছড়া ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে আটক হয়েছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা যার মধ্যে কিছু বাংলাদেশিও আছে। অনিয়মিত এই অভিবাসীদের এখন নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে করছে তুরস্ক ৷
এজন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করছে তুরস্ক। এজন্য একটা কাঠামোগত পদ্ধতি এনএভিআরর তৈরি করছে তুরস্ক। তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব মাইগ্রেশন ম্যানেজমেনটসহ দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
গত তিনদিন ধরে এ নিয়ে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বৈঠক চলছে। বাংলাদেশে বিদেশফেরতদের নিয়ে আমরা কীভাবে কাজ করছি সেটা তুলে ধরলাম।তুরস্কের প্রেসিডেন্সি অব মাইগ্রেশন ইউনিট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেডক্রিসেন্ট ও আইসিএমপিডির একটি বড় প্রতিনিধিদল এই বছরে বাংলাদেশে এসে টানা তিনদিন ব্র্যাক আর বাংলাদেশ সরকারের নানা ব্যবস্থাপনা দেখেছে।
আসলে আমরা বাংলাদেশ চাই আমাদের লোকজন বিদেশে যাবে তবে সেটি হতে হবে নিয়মিত পন্থায়। পাশাপাশি বিদেশফেরতদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও দাতা সংস্থার নানা কাজ অব্যাহতভাবে চলছে। তুরস্কের বৈঠকে আমার দুটি সেশন ছিলো।
তুরস্কের অনিয়মিত অভিবাসন ও মানবপাচার বিষয়ক মহাপরিচালক আলাদা করে কথা বললেন দীর্ঘক্ষণ। খুব স্পষ্ট ভাষায় বলেছি অনিয়মিত অভিবাসনের মতো জটিল সংকট সমাধানে একসাথে কাজ করার কোন বিকল্প নেই।
আর এই ধরনের বৈঠকে এলে মনে হয় কতো কিছু করার আছে।