শরিফুল হাসান
বিদেশগামী ও প্রবাসী ভাইবোনদের জন্য সুখবর! এখন থেকে বিদেশ যাওয়ার আগে বা ঢাকায় ফেরার পর থাকার প্রয়োজন হলে মাত্র ২০০ টাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছেই সরকারি বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নাস সেন্টারে রাতযাপন করতে পারবেন। এয়ারপোর্ট থেকে এই সেন্টারে যাওয়ার জন্য সব সময় গাড়ি অবস্থা থাকবে। সেন্টারের সেফ লকারে লাগেজসহ মূল্যবান মালামাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া সবসময় টেলিফোন সুবিধা, ইন্টারনেট ব্যবস্থা ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে।
ঢাকা এয়ারপোর্টের কাছেই নিরিবিলি সুবজ পরিবেশে প্রাচীর ঘেরা প্রায় ১৪০ কাঠা জায়গায় বিদেশগামী এবং বিদেশফেরত কর্মীদের জন্য সাময়িক আবাসস্থল তৈরি করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
আজ শুক্রবার দুপুরে খিলক্ষেতের লঞ্জনীপাড়া বরুয়াতে এই সেন্টারের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিদেশগামী ও প্রবাসফেরত কর্মীদের জন্য এই জায়গাটি করা হয়েছে বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার।
এখানে প্রবাসী কর্মীদের পুনরেকত্রীকরণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বা করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং প্রদান করা হবে। আপাতত ৪৮ জনের থাকার ব্যবস্থা এখানে রাখা হয়েছে। নারী-পুরষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে। এছাড়া কর্মীদের জন্য কাউন্সিলিং ও মোটিভেশনের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থাসহ সাশ্রয়ী মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই সেন্টারে।
১০০ টাকা ফি দিয়ে সরাসরি কিংবা অনলাইনে এখানে থাকার আবেদন করা যাবে। একজন কর্মী ১টি সিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতি রাতের জন্য প্রতি সিটের ভাড়া ২০০ টাকা এবং প্রতিবার সর্বোচ্চ দুই রাত অবস্থান করা যাবে। অবস্থানের ক্ষেত্রে লাগবে পাসপোর্ট ও এয়ার টিকিটের কপি, বহির্গমন ছাড়পত্র বা মেম্বারশিপ সনদের কপিসহ সংশ্লিষ্ট কাগজ।
আজকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলাম। খুব ভালো লেগেছে। আজকে উদ্বোধনের পর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বাইরে একজন কর্মী থাকলে তার খাওয়া-দাওয়াসহ অনেক টাকা খরচ পড়ে যায়। এখানে অনেক কম মূল্যেই তারা থাকতে এবং খেতে পারবেন। রমজানের পর এটি পুরোপুরিভাবে চালু হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, বিএমইটির মহাপরিচালক শহীদুল আলমসহ মন্ত্রণালয় ও কল্যাণ বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আমরা গত পাঁচ বছর ধরে প্রবাসীদের আবাসনসহ কিছু কিছু সেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যতগুলো ভালো উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এ সেন্টার তার মধ্যে অন্যতম।
অসাধারণ এই উদ্যোগের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডকে ধন্যবাদ। আশা করি এটি প্রবাসীদের অনেক কল্যাণে কাজে আসবে। আর এভাবেই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রবাসীদের কল্যাণ নিশ্চিত করা হবে।