একটাই পাসপোর্ট হোক, বাংলাদেশের

Spread the love

5/8/20

মন্ত্রী-সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে সব জনপ্রতিনিধি এবং সচিব থেকে শুরু করে সব সরকারি কর্মকর্তাদের একটাই পাসপোর্ট হবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশের পাসপোর্ট থাকতে পারবে না। দেশের বাইরে তাদের কোন বাড়ি এবং সম্পদ থাকবে না। তারা নিজেরা এবং তাদের সন্তানদের সবার আগে দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাবেন। তারা গণপরিবহনে চড়বেন। তাদের সন্তানেরা পাবলিক স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া তারা সবসময় সরকারি সব সেবা নিতে বাধ্য থাকবেন।

ফেসবকু মনে করিয়ে দিচ্ছে, ২০১৯ সালের আজকের দিনে এই প্রস্তাবটা লিখেছিলাম রাষ্ট্রকে। যে কেউ আমার টাইমলাইনে গেলেই লেখাটা পাবেন। সেদিন যদি প্রস্তাবটা আমলে নেয়া হতো এক বছর এগিয়ে থাকতাম। করোনার এই সময়ে এতো সমস্যা হতো না।

আমি সেদিন লিখিছেলাম, মন্ত্রী এমপি আমলা বা ক্ষমতাশালী কারও সন্তানরা যদি বিদেশে থাকে, বিদেশে পড়ে সেখানকার নাগরিকত্ব নেয়, সর্দি কাশি হলেই সেখানে ছুটে যায় তাহলে কোনদিনও তারা কখনো দেশ নিয়ে ভাববেন না। ফলে কষ্ট পাবে শুধু সাধারণ মানুষ। সে কারণেই নিয়ম সরকারি দায়িত্বে থাকা লোকজনকে সরকারি সেবা নেয়ার প্রস্তাব করেছিলাম।

আমি বিশ্বাস করি রাষ্ট্র এই ছোট্ট নিয়মটা করলেই গোটা বাংলাদেশ বদলে যাবে। ভেবে দেখেন, আপনি জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী-সংসদ সদস্য-আমলা। কথায় কথায় আপনারা দেশের মঙ্গলের কথা বলেন, বলেন মানুষের সেবা করছেন, অথচ নিজেরা সরকারি হাসপাতালে যান না। সরকারি স্কুলে সন্তানদের পড়ান না।

বছর ছয়েক আগে ঢাকার সবগু‌লো সরকা‌রি প্রাইমা‌রি স্কুলের অবস্থা নিয়ে একটা লিড রিপোর্ট করেছিলাম। আমাদের বেশিরভাগ সরকারি কর্মকর্তাদের স্ত্রীরা সেখানে শিক্ষক।কিন্তু তাদের সন্তানরা সেখানে পড়েন না। সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক তো দূরের কথা সেখানকার আয়া-দপ্তরীরাও তাদের সন্তানকে সরকারি প্রাইমারিতে পড়ান না। কেন এই নিগ্রহ? তার মানে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের আস্থা নেই।

আমি মনে করি এই অবস্থা থেকে উত্তরণের একটাই উপায়, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি চাকুরিজীবীদের সরকারি সেবা নিতে বাধ্য করা। আমি ভীষনভাবে বিশ্বাস করি জনপ্রতিনিধি ও সচিব আমলারা এক মাস বাসে চড়লে বাস সেবার মান উন্নত হয়ে যাবে। একমাস তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে সেখানকার সমস্যা বুঝবেন, সমাধানও বের হবে।

এই দেশের প্রতিটা সমস্যার সমাধান একইভাবে হবে। করোনার এই সংকটময় সময়ে আমি আবার আমার প্রস্তাবটা দিলাম। নীতি নির্ধারকরা আশা করছি বিবেচনা করবেন এবং আপনারা যে কথায় কথায় দেশপ্রেমের কথা বলেন তার প্রমাণ দেবেন। শুভরাত্রি আপনাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.