বছরের শুরুতে ৩৪ হাজার কর্মী বিদেশে গেছেন
শরিফুল হাসান
এ বছরের জানুয়ারি মাসে মোট ৩৩ হাজার ৮৪৭ জন কর্মী চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোক গেছেন দুবাইয়ে। এ সংখ্যা ১৯ হাজার ১৯৬। তবে গত বছরের জানুয়ারিতে মোট ৫০ হাজার ৬৩২ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বিএমইটির মহাপরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এবার ৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ কম কর্মী বিদেশে গেছেন। তবে বৈদেশিক মুদ্রা এসেছে গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ বেশি। বছরের শুরুতেই এ সংখ্যা মোটামুটি ইতিবাচক।তিনি জানান, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ৮৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা এসেছিল। এবার জানুয়ারিতে প্রবাসীরা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়েছেন ৯৫০ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) যুগ্ম মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বছরের শুরুতেই এ সংখ্যা বেশ ভালো। দুবাই ও আবুধাবির বাজারটা ক্রমেই বাংলাদেশের জন্য ভালো হচ্ছে। লিবিয়ার বাজারও ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কুয়েত সফরের পর সেখানকার বাজারও চালু হবে বলে আশা করা যায়। এর পাশাপাশি যদি সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ার বাজার চালু করা যায়, তাহলে এ বছরটা জনশক্তি রপ্তানির জন্য ভালোই হবে।এ বছর কত লোক বিদেশে পাঠানো সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজার ভালো থাকলে গত বছরের চেয়ে দুই-আড়াই লাখ লোক বেশি পাঠানো সম্ভব। বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও আশা করছে, এ বছর ছয় লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে যাবেন। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ছিল চার লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮।বিএমইটির বহির্গমন শাখা থেকে জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারিতে দুই হাজার ৮৪৩ জন সিঙ্গাপুরে, দুই হাজার ২৫ জন লিবিয়ায়, এক হাজার ৪৬ জন সৌদি আরবে, দুই হাজার ৭৫ জন ওমানে, ৯৪৪ জন ইরাকে, ৮৮৭ জন কাতারে, এক হাজর ৪৮৭ জন বাহরাইনে, এক হাজার ১২১ জন লেবাননে, ৭৯ জন জর্ডানে, ২৪৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ায়, ৪৯৮ জন ইতালিতে, ১৬৪ জন মিসরে ও ২৪ জন মালয়েশিয়ায় গেছেন।২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি কর্মী গেছেন দুবাইয়ে। এ সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ৮৮৩। বছরের শেষে ডিসেম্বরে গিয়েছিলেন ৩৪ হাজার ১৬৬ জন।



