শরিফুল হাসান
আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকেফিলিস্তিনে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হলো তার সম্ভবত কোনো বিচার হবে না। কারণ এই ঘটনা ঘটিয়েছে ইসরায়েল। তারা সাংবাদিক হত্যা করুক, শিশু কিংবা নারী তাদের কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। মাঝে মাঝে মনে হয় অদ্ভুত এক পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে মানুষের জীবন, মানবাধিকার সবই নির্ভর করছে কারা ঘটাচ্ছে তার ওপর।
ফিলিস্তিনিরা স্বাধীনতার জন্য লড়লে সন্ত্রাসী আর অন্য কেউ লড়লে স্বাধীনতাকামী গণতন্ত্র। রাশিয়া ইউক্রেনে গেলে দখল আর ফিলিস্তিনের পুরো দেশ দখল হয়ে গেলেও নিরব।আমি সব সময় একটি কথা বিশ্বাস করি, মানুষে মানুষের কোন ভেদাভেদ নেই। আমরা কেউ কারো চেয়ে শ্রেষ্ঠ নই।
পশ্চিমের কেউ যদি মনে করেন আরবের কোন এক মানুষ মরছে আমার কি, এশিয়ার কেউ যদি মনে করে আমেরিকায় মানুষ মরছে আমার কি, আফ্রিকার কেউ যদি মনে করে ইউরোপে মরলে আমার কি, পৃথিবীর যে প্রান্তেই কেউ মরুক আপনার যদি খুশি লাগে তাহলে বুঝবেন মানুষ হতে ঢের বাকি।আসলে ইরাক হোক, ইয়েমেন, আফগানিস্তান কিংবা ইউক্রেন; আসলে পৃথিবীর যে প্রান্তেই একজন মানুষ মারা যাক না কেন, যে প্রান্তেই মারা যাক একজন শিশু দিনশেষে সে এই পৃথিবীর বাসিন্দা।
আমাদের সবার সেজন্য ব্যথিত হওয়া উচিত। সম্মিলিতভাবে এর প্রতিবাদ করা উচিত। আমি মনে করি ধর্ম-বর্ণ-জাতি সবকিছুর উর্ধ্বে মানুষ। মানবতার উপর কোন ধর্ম হতে পারে না। যতক্ষণ না আমরা সবাই সবাইকে অনুভব করতে পারবো, যতক্ষণ না সবাই সবাইকে রক্ষা করতে চাইবো ততদিন এই পৃথিবীতে শান্তি আসবে না।
আমাদের সবার মনুষত্ববোধ জাগ্রত হোক। আমরা যেন সবাই মানুষ হতে পারে কারণ আজকে পৃথিবীতে সত্যিকারের মানুষেরা ভীষণ সংখ্যালঘু। এই দেশে এই পৃথিবীতে সত্যি কারের মানুষের সংখ্যা বাড়ুক, জয়গান হোক মানুষের। ভালো থাকুক এই দেশ এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ।


