অর্ধেকেরও বেশি এসেছে লিবিয়া থেকে

Spread the love

ছয় মাসে বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরেছে ৬১ হাজার কর্মী

শরিফুল হাসান

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৬১ হাজার কর্মী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৩৬ হাজার জনই ফিরেছেন লিবিয়া থেকে। যাদের বেশির ভাগ পাসপোর্ট ছাড়া কেবল আউটপাস সংগ্রহ করে দেশে ফেরেন।বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ২০১০ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশে ফিরেছিলেন ২৬ হাজার ৯৫ জন কর্মী। আর ২০০৯ সালের প্রথম ছয় মাসে এই সংখ্যা ছিল ৪৩ হাজার ৯৪৩ জন।ফিরে আসা কর্মীদের এই সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে অবশ্য প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় উদ্বিগ্ন নয়। কারণ এ সময়ে গত কয়েক বছরের তুলনায় জনশক্তি রপ্তানিও বেড়েছে। গত ছয় মাসে দুই লাখ ৫১ হাজার ৪৯৭ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। ২০১০ সালের প্রথম ছয় মাসে এই সংখ্যা ছিল দুই লাখ দুই হাজার ৮২৪ জন।প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক সময়ই বলা হয় বিদেশের শ্রমবাজারে ধস নেমেছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে। সামনের দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।’জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলেছেন, লিবিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণেই এ বছর ফেরত আসা কর্মীর সংখ্যা এত বেড়েছে। মার্চ থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত কেবল লিবিয়া থেকে ৩৬ হাজার ৫৭৫ জন তিউনিসিয়া ও মিসর হয়ে দেশে ফিরেছেন। লিবিয়া-ফেরতদের প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, লিবিয়া থেকে একবারে অনেক লোক ফেরত এসেছে। এটা ছিল অপ্রত্যাশিত। তবে যাঁরা ফেরত এসেছেন, তাঁরা যদি আবার বিদেশে যেতে চান, তাহলে সরকার তাঁদের পাঠানোর চেষ্টা করবে।বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, লিবিয়া ছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে গত জানুয়ারিতে দুই হাজার ৩০১ জন, ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ হাজার ৯৩৬, মার্চে তিন হাজার ৬৭৯, এপ্রিলে চার হাজার ৩১৪, মে মাসে চার হাজার ৬০৩ এবং জুনে চার হাজার ২৪৩ কর্মী দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।লিবিয়ার পর বেশি কর্মী ফিরেছেন সৌদি আরব থেকে, ১০ হাজার ২৬০ জন। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে পাঁচ হাজার ৯২৮, মালয়েশিয়া থেকে পাঁচ হাজার ১৩, কুয়েত থেকে ৮৬৫, ওমান থেকে ২০৫ এবং সিঙ্গাপুর থেকে ২৫৬ জন দেশে ফিরেছেন।জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত ছয় মাসে ফিরে আসা কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধির একটা বড় কারণ লিবিয়া। সেখান থেকেই এসেছে প্রায় ৩৬ হাজার জন। মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে অস্থিরতা ছিল। এর প্রভাব প্রবাসী-আয়েও (রেমিট্যান্স) পড়বে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.