শরিফুল হাসান
বাংলাদেশের ৩৪ হাজার ৭৯৮ জন কর্মী জুন মাসে চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন। ৪৯টি দেশে যাওয়া এই কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৭ হাজার ৮০৯ জন গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ ছাড়া তিন হাজার ৯৭৬ জন ওমান ও তিন হাজার ৪৯০ জন সিঙ্গাপুরে গেছেন। এ নিয়ে গত ছয় মাসে দুই লাখ দুই হাজার ৮২৪ জন কর্মী বিদেশে গেলেন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বিএমইটির মহাপরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, ছয় মাসে প্রায় দুই লাখ কর্মীর বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক। আশা করছি বছরের বাকি ছয় মাসে আরও প্রায় চার লাখ লোক বিদেশে যাবেন। এর মধ্যে নতুন কিছু বাজার চালু হবে। এটা হলে এই সংখ্যায় পৌঁছানো সম্ভব।বিএমইটির অভিবাসনসংক্রান্ত শাখা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের জুন মাসে ৩৮ হাজার ৫৬৮ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৯৮ হাজার ২০২ এবং ২০০৭ সালে ৬৯ হাজার ৫৭৬ জন। বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আরব আমিরাত ছাড়াও এখন সিঙ্গাপুর এবং ওমানের বাজার ভালো। তবে আগের মাসগুলোর তুলনায় কমেছে লিবিয়ার বাজার। আগে যেখানে প্রতি মাসে গড়ে তিন থেকে চার হাজার লোক লিবিয়ায় যেতেন, সেখানে জুন মাসে লিবিয়ায় গেছেন মাত্র ৩৮৯ জন। তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবের দুরবস্থা এখনো সেভাবে কাটেনি। জুন মাসে সৌদি আরবে গেছেন ৮০২ জন কর্মী। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দেশ কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানি প্রায় বন্ধ আছে। গত মাসে মাত্র চারজন কর্মী সেখানে গেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাহরাইনে জনশক্তি রপ্তানি বেড়ে চলেছে। দেশটিতে এপ্রিলে গেছেন এক হাজার ৯৫৭ জন কর্মী। আর জুনে গেছেন দুই হাজার ২২৫ জন। এ ছাড়াও জুনে এক হাজার ৮৫১ জন কর্মী লেবানন, এক হাজার ১১৫ জন কাতার, ৮০৭ জন দক্ষিণ কোরিয়া, ৫২৫ জন ইতালি, ৩১৬ জন মরিশাস ও ৭৬ জন কর্মী পোল্যান্ডে গেছেন। বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও আশা করছে, এ বছর ছয় লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে যাবেন। ইতিমধ্যে জানুয়ারিতে ৩৩ হাজার ৮৪৭, ফেব্রুয়ারিতে ২৭ হাজার ৪৯, মার্চে ৩৮ হাজার ২৪৪, এপ্রিলে ৩৫ হাজার ৬৪৭ এবং মে মাসে ৩৩ হাজার ২৩৯ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। ২০০৯ সালে বিদেশে গেছেন মোট চার লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮ জন। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল আট লাখ ৭৫ হাজার ৫৫ জন।