বেশি কর্মী গেছেন আরব আমিরাতে সিঙ্গাপুর ও লিবিয়ার বাজারও ভালো
শরিফুল হাসান
এ বছরের এপ্রিল মাসে ৩৫ হাজার ৬৪৭ জন কর্মী চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এ সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৫০। এ নিয়ে গত চার মাসে ৭৪ হাজার ৯২৫ জন কর্মী দেশটিতে গেলেন। সব মিলিয়ে গত চার মাসে বিদেশে গেছেন এক লাখ ৩৪ হাজার ৭৮৭ জন কর্মী। একই সময়ে ফিরেছেন ১৬ হাজার ৭১২ জন। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুরো (বিএমইটি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।বিএমইটির অভিবাসন-সংক্রান্ত শাখা সূত্রে জানা গেছে, আরব আমিরাত ছাড়াও এখন সিঙ্গাপুর ও লিবিয়ার বাজার ভালো। এপ্রিল মাসে তিন হাজার ৪২৬ জন কর্মী সিঙ্গাপুরে গেছেন। লিবিয়ায় গেছেন তিন হাজার ২৬৮ জন। এ নিয়ে গত চার মাসে ১১ হাজার ৯৯৪ জন কর্মী সিঙ্গাপুর এবং ১০ হাজার ১১৮ জন কর্মী লিবিয়ায় গেলেন।তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবের দুরবস্থা কাটেনি এখনো। এপ্রিলে সৌদি আরবে গেছেন ৯৬৯ জন কর্মী। অথচ একই মাসে দেশটি থেকে ফিরেছেন এক হাজার ৮৮৪ জন কর্মী। মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দেশ কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানি প্রায় বন্ধই আছে। গত মাসে মাত্র চারজন কর্মী সেখানে গেছেন।মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ বাহরাইন, যেখানে জনশক্তি রপ্তানি বেড়েই চলছে। এপ্রিলে বাহরাইনে গেছেন এক হাজার ৯৫৭ জন কর্মী। আগের মাস মার্চে এ সংখ্যা ছিল এক হাজার ৮৭৮।এ ছাড়াও এপ্রিলে তিন হাজার ৩১ জন কর্মী ওমান, এক হাজার ২৮২ জন লেবানন, ৮৫৪ জন কাতার, ৪২৮ জন ইতালি, ১১২ জন মিসর, ২৭৭ জন ব্রুনেই, ২৮৯ জন মরিশাস, ৬৫ জন ইরাক ও ৩১ জন জর্ডানে গেছেন।বহির্গমন শাখা সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের এপ্রিলে ৩৯ হাজার ৪৯ জন কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন। আর ওই বছরের প্রথম চার মাসে বিদেশে গিয়েছিলেন এক লাখ ৭৬ হাজার ৪৮২ জন।বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও আশা করছে, এ বছর ছয় লাখেরও বেশি কর্মী বিদেশে যাবেন। ইতিমধ্যে জানুয়ারিতে ৩৩ হাজার ৮৪৭ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২৭ হাজার ৪৯ জন এবং মার্চে ৩৮ হাজার ২৪৪ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। ২০০৯ সালে মোট বিদেশে গিয়েছিলেন চার লাখ ৭৫ হাজার ২৭৮ জন। ২০০৮ সালে এ সংখ্যা ছিল আট লাখ ৭৫ হাজার ৫৫।বিএমইটির মহাপরিচালক খোরশেদ আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ-এপ্রিলে জনশক্তি রপ্তানি বেড়েছে। সামনের মাসগুলোতে আরও বাড়বে—এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, লিবিয়ার বাজারটা ভালো। সম্প্রতি দেশটি সফরের পর দুই দেশের সম্পর্কও বেড়েছে। সৌদি আরব, কুয়েত ও মালয়েশিয়া বাদে বেশির ভাগ দেশেই জনশক্তি রপ্তানি সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি।